Bengali spelling reform — বাঙলা বানান সঙসকার

Saikat Basak
2 min readOct 28, 2020

সৈকত বসাক

যারা বাঙলা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা হিসেবে শেখে, তাদের কাছে যুক্তাক্ষর বিশাল বড় বাধা| এ বিষয়ে আপনার কি মতামত?

আমি ভাবছি বাঙলায় যুক্তাক্ষর রাখা হয়েছে কেন? অকারণ জটিল ব্যাপার, বিশেষ করে বিদেশে বড় হওয়া বাচ্ছাদের জন্য| আমার কাছে option হল বাচ্ছা কে [1] সহজ বাঙলা সেখানো বা [2] বাঙলা না সেখানো| এর কারণ হল বিদেশে বাচ্ছারা স্কুলে বাঙলা শেখে না এবঙ সে জন্য এদের বাড়িতে বাঙলা শেখান দুরুহ কাজ|

বাঙলা বানান সঙসকার আগেও হয়েছে| 1935 এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য শ্যামাপ্রসাদ মুখারজি কে অনুরোধ করেন বাঙলা বানানের নিয়ম লিপিবদ্ধ করতে| ঐ সময় থেকে বাঙলা বানানের নিয়মের প্রচলন হয়|

আপনি অবশ্যই প্রশন করতে পারেন যে ইঙরিজি বানানের তো কোন মাথা মুনডু নেই, তার বেলা?
এটা খুবই যুকতিসঙ্গত প্রশ্ন| ইঙরিজির মুসকিল টা হল ইঙরিজি বানান গুলো এত বেশি ভুলভাল যে সব ঠিক করে phonetically লিখতে গেলে লোকে কেউ কিছু বুঝবে না| আমি সমপুর্ন সহমত যে ইঙরিজি বানানের ও পরিবরতন হওয়া দরকার|


আমার মতে বাঙলায় অবিলমবে যে পরিবরতন গুলো দরকার তা হল

[0] বানান হবে phonetics অনুসারে
[1] মূর্ধন্য ণ কে তুলে দেওয়া হোক, শুধু দনত্য ন ই যথেষ্ট
[2] য কে হঠানো যেতে পারে, জ দিয়ে
[3] ঞ আর ষ full obsolete — মূর্ধন্য ষ এর বদলে শ দিলেই হবে|
[4] র-ফলা আর রি-কার এ confusion হয় — রি কার এর বদলে র- ফলা ব্যবহার করা শ্রেয় যেমন কৃষক এর বদলে ক্রিষক অথবা কৃষ্ণ এর বদলে ক্রিষনো, এর কারণ হলো যে রি কার শুধুমাত্র ri শব্দর জন্যই সম্ভব কিন্তু র ফলা আরো versatile কারণ এটা ro re ru ro এগুলোর জন্যও চলে।
[5] খন্ড ত আর অনুস্বার এর বদলে ত আর ঙ এ হসন্ত দিলেই চলবে
[6] ঐ আর ঔ কার extra তাই ওই আর অউ লিখলে চলবে
[7] যুক্তাক্ষর এর ব্যাবহার কমাতে হবে যতটা সমভব| যদি দরকার হয় তবে উচচারন বোঝানোর জন্য হসন্ত দিতে হবে|
[8] ঈ আর ঊ থাকুক কিন্তু যদি উচচারন সত্যি দীরঘ হয় তবেই ঈ আর ঊ দিতে হবে, নয়ত শুধু ই আর উ যথেষ্ট|
[9] রেফ কোন কাজের নয় তাই বরনোপরিচয় বা কারতিক এইভাবে লেখা হোক|
[10] ড় এর বদলে র বেশি ব্যাবহার করতে হবে যেমন বারি, গারি, হাঁরি
[11] silent letter বানান থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নিতে হবে যেমন সরসসতি, লকখি ইত্যাদি

মনে রাখবেন ভাষা continuously evolve করে| পুরোনো দিনের বাঙলা, বিশেষ করে 1857 সালের আগের বাঙলা পড়ে প্রায় কিছুই বোঝা যায় না| এখনকার পাঠকের কাছে বঙকিমচন্দ্র বা শরতচন্দ্র পড়ে বোঝাও শক্ত কাজ| এর কারণ হল যুগের সঙগে সমাজের ও পরিবরতন হয়েছে| আধুনিক পাঠকের কাছে পুরনো বাঙলার প্রেক্ষাপট visualize করা একটা কঠিন ব্যাপার| Millennial বা Gen Z এর কাছে বাঙলা ভাষাটাই প্রায় unimportant হয়ে যাচ্ছে, শুধু বিদেশে নয়, যারা ভারতে পশচিম বঙগের বাইরে বসবাস করে তাদের কাছেও| বাঙলাদেশে যদিও বাঙলা পুরদমে বজায় আছে|

আমি নিজেকে বাঙলা ভাষার অভিভাবক বলে মনে করি না| ইঙল্যান্ড এ থাকার জন্য আমি সমসাময়িক বাঙলা সাহিত্য থেকে অনেকটাই দূরে, তাই এই লেখাটা পড়ে খেপে যাবেন না| আমি আমার ব্যাকতিগত মতামত লিখেছি| আপনার মতের সঙগে এটা না মিলতেই পারে|

বাঙলা লিখতে চাইলে এই অ্যাপ টা ব্য়াবহার করতে পারেন|

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ|

--

--

Saikat Basak
0 Followers

Author, blogger, traveler, investor. Loves technology and innovation. Believes in data driven decisions.